ভ্যাপসা গরমে ৪৮ ঘন্টায় সদর হাসপাতালে ৮২ জন রোগী ভর্তি

ভ্যাপসা গরমে গত ৪৮ ঘন্টায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ডায়রিয়ার প্রকোপে ৮২ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। সদর হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় সাধারন রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমসিম খাচ্ছে ডাক্তার ও নার্সরা।

এদিকে হাসপাতালে ডায়রিয়া ওয়ার্ড ছাড়াও আক্রান্ত রোগীদের হাসাপাতালের বারান্দাসহ সিড়ির নিচে বিছানা করে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। অন্যদিকে ডায়রিয়ার প্রকোপ হটাৎ করে বেড়ে যাবার ফলে হাসপাতালের রোগীদের কলেরা স্যালাইন সংকট দেখা দিয়েছে। হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ বলছে রোগীদের জন্য মুখে খাওয়ার স্যালাইনের সংকট নেই তবে হাসপাতালে কলেরা স্যালাইনের যে সংকট বর্তমানে রয়েছে তা বেশী দিন থাকবে না।

আরও পড়ুন :
জান্নাত লাভের ছোট্ট একটি গুণ
কুরিয়ার সার্ভিসে দেদারসে পাচার হচ্ছে মাদক !

সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ১ সপ্তাহ জুড়ে চুয়াডাঙ্গায় ভ্যাপসা গরমে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। হটাৎ করেই গত চারদিন সদর হাসপাতালে ডায়রিয়ার রোগীর ভর্তির সংখ্যা বাড়তে থাকে। হাসপাতালে গত দুইদিনে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে যারা ভর্তি হয়েছে তাদের ভিতর শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যাই বেশী।

গত শুক্রবার ৫২ জন রোগী ও শনিবার বিকেল পর্যন্ত ৩০ জন রোগী দিয়ে ৪৮ ঘন্টায় মোট ৮২ জন ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ভ্যাপসা গরমের কারণেই হাসপাতালে ডায়রিয়ার রোগীর সংখ্যা বেড়েছে বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সদর হাসপাতালের ডাক্তার শামীম কবীর জানান, ভ্যাপসা গরমে মানুষের মাঝে হটাৎ করে এক ধরনের জীবানু ছড়িয়ে পড়ায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের নিবিড় পর্যবেক্ষনে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। জীবনননর ও দামুড়হুদা হাসপাতালের ও ডায়রিয়া প্রকোপ ও বেশি। জনবল সংকটের কারনে এবং ঔষধ সংকটের কারনে চিকিৎসা ব্যহত হচ্ছে বলে জনসাধারনে ধারনা।

আগস্ট ২৫, ২০১৯ at ২০:৩০:১৯ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/তআর/আজা