আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার খোকশাবাড়ীতে ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী (প্রতিবন্ধী) কে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ধর্ষিতার মা বিচারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও কোন সুরাহা পাচ্ছেনা। বরং তাদের হুমকি ধামকি দিয়েই আসছেন। প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষনের ঘটনায় ওই এলাকায় শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন।  চায়ের দোকানের চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

ধর্ষিতা শিশু খোকশাবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী ও অভিযুক্ত ইসমাইল হোসেন বাবলু খ্ােকশাবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ৯নং ব্লকের সভাপতি ও সাবেক সেনা সদস্য।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত দুই মাস আগে সদর উপজেলা খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের ৯নং ব্লকের বাসিন্দা মো. শুকুর আলীর ৫ম শ্রেণীতে পড়ুয়া প্রতিবন্ধী শিশু সন্ধার দিকে দোকানে বিস্কুল কিনতে যায়। পাশেই দাড়িয়ে থাকা বাবলু মেয়েটিকে ফুসলিয়ে তার বাড়ীতে নিয়ে ধর্ষন করে। এবং মেয়েটিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেয়। কিছু দিন পর মেয়েটি আশপাশের লোকজনকে বললে শুরু হয় নানা গুঞ্জন। কিন্তু বাবলু প্রভাবশালী হওয়া কেউ মুখ খুলতে পারেনি। ঘটনাটি জানাজানি হলে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য শুরু হয় শিশুর পিতা-মাতার ওপর বিভিন্ন ধরনের চাপসহ হুমকি। পরে সাংবাদিকদের দেখে সবাই মুখ খুলতে শুরু করেন। পরে ঘটনার সত্যতা এক এক করে বেড়িয়ে আসে।

ধর্ষিতার মা আসমা বেগম বলেন, প্রতিবন্ধী শিশুর সাথে ধর্ষণের ঘটনা শুনার পর থেকে তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন। ওই সময় স্থানীয়  মাতবর রহিম মেম্বার, আব্দুল, দুলাল, আব্দুস ছালাম, লাল চাঁদ আমার উপর চাপ সৃষ্টি করে ঘটনাটি আপোষ করার জন্য। চাপে পড়ে  করে ছিলাম। কিন্তু এত দিন হয়ে গেলেও কোন সুরাহা পাচ্ছিনা। আমি মামলা করতে চাইলেও ধর্ষক বাবলুর লোকজন আমাকে মামলা করতে দেয়নি। তিনি আরো বলেন, মেয়েকে কোথায় নিয়ে কিভাবে ধর্ষন করেছে সেটাও প্রতিবন্ধী মেয়ে আমাকে বলেছে। আমি গরিব মানুষ, বাসা বাড়ীতে কাজ করে খাই এই মেয়ের এখন কি হবে। আমি আমার মেয়ের বিচার চাই। ওই নেতা বাবলুর বিচার চাই, কান্না জড়িত কন্ঠে বলেই সে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

আরো পড়ুন:
৭ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষন, দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন
চৌগাছায় শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ
যবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল

এবিষয়ে কথা হয় অভিযুক্ত ইসমাইল হোসেন বাবলুর সাথে তিনি বলেন, আমি ওই মেয়েটি নাতনী হিসাবে আদর সোহাগ করি। এবং প্রতিবন্ধী হওয়ায় তাকে মাঝে মাঝে দোকান থেকে এটা ওটা কিনেও দেই। কিন্তু তাকে আমি ধর্ষন করিনি। এটা নিয়ে আমার সাথে শত্রুতা করা হচ্ছে বলে জানান।

স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হেলাল শেখ বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। ওই মেয়ে ও তার মা আমার কাছেও এসেছিল। তাদের কাছ থেকে বিস্তারিত শুনেছি। আমিও প্রতিবন্ধী ধর্ষনের সুবিচার চাই।

খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. রাশিদুল ইসলাম মোল্লা জানান, গত দিন কয়েক আগে ধর্ষনের বিষটি শুনেছি। এলাকার মাতবরদের সাথে কথা বলে একটা দেয়া হবে। না হলে যে পাপ করেছে শাস্তি তাকেই পেতে হবে বলে তিনি জানান।

আগস্ট ২৪, ২০১৯ at ২০:২০:১৯ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/অআর/তআ