ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত পাটচাষীরা

কুড়িগ্রামের উলিপুরে সরকারি ও বেসরকারি ক্রয় কেন্দ্র না থাকায় ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন পাটচাষীরা। পাটক্রয় কেন্দ্র না থাকায় একশ্রেণির ফড়িয়া ও পাট ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কাছ থেকে পাট কিনে মজুদ করছে। এ অঞ্চলের কৃষকরা সাম্প্রতিক বন্যার ধকল কাটাতে অর্থের অভাবে অল্প মূল্যে পাট বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১ হাজার ৯৪৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ২ হাজার ৬৭৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ৩৭৫ মন পাট।

আরও পড়ুন :
পিতাকে ফাঁসাতে গিয়ে ছেলে কারাগারে
পৌর মেয়রের সহায়তায় এতিম মেয়ের বিবাহ সম্পূর্ণ

উপজেলায় পাট ক্রয়কেন্দ্র না থাকায় সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে পাট বিক্রি করতে পারছেন না চাষীরা। চাষীদের আর্থিক সচ্ছলতা না থাকায় প্রতি মণ পাট ব্যবসায়ীদের কাছে ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে মধ্যস্বত্বভোগীরা লাভের মুখ দেখছে। আর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পাট চাষীরা। চাষীদের দাবি সরকারিভাবে উপজেলায় পাট ক্রয় কেন্দ্র খোলা হলে তারা লাভবান হবেন।

উপজেলার নারিকেল বাড়ি গ্রামের পাটচাষী হাফিজার রহমান জানান, তিনি চলতি বছরে ২ একর জমিতে পাট চাষ করেছিলেন। বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় পরিপক্ক না হলেও পাট কেটে জাগ দিতে হয়েছে। পাট কাটা থেকে শুরু করে শুকানো পর্যস্ত মন প্রতি ১০০০ থেকে ১৩০০ টাকা খরচ হয়েছে। সরকারিভাবে উপজলায় পাট ক্রয় কেন্দ্র খোলা হলে চাষীরা লাভবান হতেন।

উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, চাষীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তারপরও চাষীরা সনাতন পদ্ধতিতে পাট জাগ দেওয়ায় পাটের রং কিছুটা নষ্ট হয়ে যায়।

আগস্ট ২৩, ২০১৯ at ০০:৫৩:১৯ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/এজিএল/আজা