ভ্যাপসা গরমে সদর হাসপাতালে নানা রোগে আক্রান্ত হওয়া শিশু ও বয়স্ক রোগীদের ঢল

গত কয়েকদিনে র ভ্যাপসা গরমে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নানা রোগে আক্রান্ত হওয়া শিশু ও বয়স্ক রোগীদের ঢল নেমেছে। বাড়তি রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্স। অতিরিক্ত বৃষ্টিতে একটু ঠান্ডা ভাব অনুভুত হলেও মাঝে মাঝে বাতাস না হওয়া ঝির ঝির বৃষ্টি আর তীব্র রোদের তাপে গরমে গা ঘেমে ঠান্ডা-কাশি, অ্যাজমা ও ডায়েরিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ। বিভান্ন

গতকাল বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলো ৯৬ জন, মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ৯৭ জন, ডায়েরিয়া ওয়ার্ডে ৪৮ জন এবং বহিঃবিভাগে চিকিৎসা নিয়েছে ৯৪৯ জন রোগী।

এদিকে, গরমজনিত কারনে ডায়েরিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়লেও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে দেখা দিয়েছে স্যালাইন সংকট। ডায়েরিয়া আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হলেই তাদের স্যালাইন বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। গত ১২-১৩ দিন ধরে স্যালাইন সংকটের কারনে দরিদ্র রোগীদের পড়তে হচ্ছে বিপাকে।

আরও পড়ুন :
মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে সাংবাদিকদের প্রতিবাদ সভা
ইবিতে বহিরাগত কর্তৃক শিক্ষার্থীকে মারধর

সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শামীম কবীর বলেন, সমস্যা বেশীদিন থাকবেনা। চাহিদাপত্র দেয়া হয়েছে, অল্প কদিনের মধ্যেই ডায়েরিয়ার স্যালাইন চলে আসবে।

অপরদিকে, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আসন সংখ্যা সীমিত এবং চিকিৎসক ও সেবিকা সংকটের কারনে হাসপাতালে আসা রোগীদের সঠিক সেবা দিতে বেগ পেতে হচ্ছে। জনবল দিলে এবং নবনির্মীত ভবনটি চালু করলে এ সমস্যা থাকবেনা বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

গরমজনিত কারনে রোগীদের ব্যপারে কথা বলতে গেলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কার্ডিওলজি কনসালটেন্ট ডা. আবুল হোসেন বলেন, আগষ্ট-সেপ্টেম্বর মাসের দিকে গরম একটু বেশী পড়ে। সে কারনে হাসপাতালে রোগীর চাপ থাকে বেশী। গরমে অ্যাজমা, ঠান্ডা, ডায়েরিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীরাই বেশী ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে।

আগস্ট ২৩, ২০১৯ at ২১:৩৯:১৯ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/এমত/আজা