ড্রাগন চাষে ভাগ্য ফিরলো শহিদুর রহমানের

যশোরের চৌগাছায় ড্রাগন চাষে ভাগ্য ফিরলো প্রাপ্ত নায়েব শহিদুর রহমান (৬৮) নামের এক ভূমি কর্মকর্তার। ইতি মধ্যে তিনি উপজেলায় ড্রাগন চাষে একজন সফল চাষী হিসাবে সুনাম অর্জন করেছেন। এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, ড্রাগন চাষি শহিদুর রহমানের গ্রামের বাড়ি উপজেলার নারায়নপুর গ্রামে।

শহিদুর রহমান বলেন, ২০১৬ সালের দিকে বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় ড্রাগন চাষ সম্পর্কে প্রতিবেদন দেখি। প্রতিবেদনটি পড়ে পেপার কাটিং সংগ্রহ করলাম। তা থেকে ইচ্ছা হলো ড্রাগন চাষের। কিন্তু ৮ থেকে ১০ বিঘা জমি একত্রে কোথাও লিজ পায়নি। তখন আমার ৩৭ ও ৪২ শতক করে দুই খন্ড জমি প্রস্তুত করলাম ড্রাগন চাষের জন্য। একটি খন্ডে পিলার দিলাম ২৭৮ টি এবং অপর খন্ডে পিলার দিলাম ২৭৬ টি।

আরও পড়ুন :
যশোরে মুক্তিযুদ্ধের গল্প ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান
সিরাজগঞ্জে মাদক ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে লিফলেট বিতরণ

তিনি আরও বলেন, ঐ সময় চারার দাম বেশি ছিলো এই জন্য খরচ একটু বেশি হয়েছিলো। আবার আমার জমি উচু নিচু ছিলো। জমি সমান করতে, সেচ মেশিন বসাতে ও শ্রমিক খরচসহ সর্বমোট ৭৯ শতকে খরচ হয়েছিলো তিন লক্ষ টাকার মতো কিন্তু বর্তমানে চারার দাম কম হওয়ায় ঐ পরিমান ড্রাগন বাগান তৈরি করতে দেড় লক্ষ টাকা খরচ হবে।

এ পর্যন্ত ড্রাগন থেকে ইনকাম হয়েছে, গত বছরে ৫ লক্ষ ১২ হাজার টাকার ড্রাগন বিক্রয় করতে সক্ষম হয়েছি। বর্তমান বছরে ৩ লক্ষ টাকার পর্যন্ত ফল বিক্রয় করেছি। এখনো বছর শেষ নয়। নভেম্বর পর্যন্ত ফল আসবে। সুতরাং আরও বিক্রয় সম্ভব হবে। প্রথম বছর খরচ বেশি হলেও এখন শ্রমিক, সার, সেচ ছাড়া কোনো খরচ নেই। সুতরাং এখন লাভের পরিমান অনেক বেশি।

এই ড্রাগন চাষ আমার জীবনকে মুগ্ধ করেছে। তাই আমি আমার ড্রাগন বাগানের একশত গজ দুরে একত্রে ১০ বিঘা জমি ড্রাগন চাষের জন্য নতুন করে প্রস্তুত করেছি। সেখানেও ড্রাগন চাষ করবো। কারন চারা তো কেনা লাগবে না। নিজের জমিতে চারা আছে এবং পিলার তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এবারকার ১০ বিঘাতে চাষ করতে অনেকটা বাড়তি খরচ কম হবে। তার বাগানে গড়ে প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ জন লোক কাজ করে। অবশেষে তিনি বলেন, সব মিলে সৃষ্টিকর্তা আমাকে অনেক সুখে রেখেছে।

আগস্ট ২২, ২০১৯ at ১৬:১৫:২৯ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/এম/এমআই/আজা