বিশেষ ২ গুণের কারণে সুনিশ্চিত জান্নাত পাবেন নারীরা

নবীদের কাছে যারা ঈমান নিতে আসতো তাদের তথ্য অন্যের কাছে দিয়ে দিতো। নবীদের ব্যাপারে লোকদের বলে বেড়াতো- এ লোক একজন পাগল। তারা তাদের স্বামী নামে চোগলখুরী করতো। তাদের নামে কুৎসা রটনা বা বদনাম বলে বেড়াতো। যার ফলে নবীদের সঙ্গে সংসার করা সত্বেও তারা জাহান্নামী।

পক্ষান্তরে আল্লাহ তাআলা বিশ্বাসীদের (নারীদের) উদ্দেশ্যে ফেরাউনের স্ত্রী হজরত আসিয়ার দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছেন। যিনি ফেরাউন ও তার বাহিনীর অত্যাচারে আল্লাহর সাহায্য চেয়েছেন ঠিকই ফেরাউনের ব্যাপারে কোনো অভিযোগ বা বদদোয়া করেনি। আবার তার কোনো দোষও বলে বেড়াননি। আল্লাহ বলেন-
আল্লাহ তাআলা বিশ্বাসীদের জন্য ফেরাউনের স্ত্রীর (আসিয়া) দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছেন। যখন সে দোয়া করলোহে আমার রব! আমার জন্য তোমার কাছে জান্নাতে একটি ঘর বানিয়ে দাও। আমাকে ফেরাউন তার খারাপ কাজকর্ম থেকে রক্ষা করো এবং আমাকে অত্যাচারি সম্প্রদায় থেকে রক্ষা করো।’ (সুরা তাহরিম : আয়াত ১১)

এ আয়াতের আলোকে বুঝা যায় যে, ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া স্বামী অবিশ্বাসী হওয়া সত্ত্বেও তার ব্যাপারে বদদোয়া করেনি এবং তার কোনো দোষও বর্ণনা করেনি বরং তার অত্যাচার ও দুষ্কর্ম থেকে উদ্ধার হওয়ার আবেদন করেছেন। আল্লাহ তাআলা স্বামীদের অধিকারের ব্যাপারে বিশ্বাসী নারীদের জন্য এ আয়াত তুলে ধরেছেন।

আরো পড়ুন:
খ্রিস্টধর্ম ছেড়ে পুনরায় মুসলমান হয়েছেন অর্ধশত নারী পুরুষ
বয়ষ্ক ভাতা পেলেন মোমেনা বেওয়া

আয়াতের তাফসিরে এসেছে
ফেরাউনের স্ত্রীর নাম ছিল আসিয়া। তিনি হজরত মুসা আলাইহিস সালামের আহ্বানে ঈমান এনেছিলেন। ফেরাউন তার হাত ও পায়ে পেরেক দিয়ে আটকিয়ে মাথার ওপ গরম তেল ঢেলে দিয়েছিলেন। যার ফলে তার মাথার চুল ও চামড়াগুলো ওঠে গিয়েছিল। সে সময় ফেরেশতারা তার সামনে জান্নাতের দৃশ্য তুলে ধরেছিলেন। ফলে ফেরাউনের শাস্তি তার কাছে সহজ হয়েগিয়েছিল। আর তখন তিনি আল্লাহর কাছে উল্লেখিত দোয়া করেছিলেন।

সুতরাং প্রত্যেক ঈমানদার নারীর উচিত যে, স্বামীর ব্যাপারে চোগলখুরী না করা। স্বামীদের দোষ বলে বেড়ানো থেকে বিরত থাকা। স্বামীর জন্য বদদোয়া বা অভিশাপ না দেয়া। বরং স্বামীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞপনের পাশাপাশি তাদের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা। তাদের প্রতি সন্তুষ্ট থাকা। ফলে তারা পাবে সুনিশ্চিত জান্নাত।

আগস্ট ২২, ২০১৯ at ১১:৩১:২১ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/জুবা/ইআ