রায়পুরে দু’গ্রামের মানুষের ভরসা ১টি মাত্র বাঁশের সাঁকো

লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরে দুই গ্রামের মানুষের চলাচলের ভরসা হচ্ছে একটি মাএ বাঁশের সাঁকো। প্রতিদিন এ সাঁকো দিয়ে দুগ্রামের কয়েক হাজার মানুষের চলাচলে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে জেনেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।

রায়পুর উপজেলা ১০ নং ইউনিয়ন চরপলোয়ান ও চরমুররী দুই গ্রামের বসবাসরত মানুষের চলাচলের ব্যবস্থা রয়েছে ডাকাতিয়া নদীর উপর একটি বাঁশের সাঁকো। এই সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা পড়ুয়া শত শত শিক্ষার্থী আসা যাওয়া করে। প্রতিনিয়ত অনেক স্কুল কলেজ ও মাদরাসা শিক্ষার্থী এ সাঁকো দিয়ে পারাপারের সময় হাত-পা ফসকে পড়ে গিয়ে মারাত্মক আহত হয়েছে।

গ্রামে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় চরপলোয়ান ও জনকল্যাণ স্কুলসহ রায়পুরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়ার জন্য আসতে হয়। বর্ষা মৌসুমে ঝড় বৃষ্টিতে সাঁকোটি পিচ্ছিল এবং সরু হওয়ার কারণে অনেক শিক্ষার্থী ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও পাঠদান থেকে বিরত থাকাতে এ অঞ্চলের ছেলেমেয়েরা শিক্ষা অর্জন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

আরও পড়ুন :
কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন
মাদক বিরোধী অভিযানে ৩৪৪ বোতল ফেন্সিডিল আটক করেছে বিজিবি

উপজেলার চরমুররী গ্রামের সকল মানুষ রায়পুর কেন্দ্রিক। কারণ চরমুররী গ্রামের চারপাশে ডাকাতিয়া নদী, যাতায়াত ব্যবস্থা হিসেবে রয়েছে একটি সাঁকো।

রায়পুর উপজেলার চরমুররী গ্রামে বসবাসরত বেশিরভাগ মানুষ ১০ নং রায়পুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। তারা সকলেই কৃষিনির্ভর পেশা শ্রেণির মানুষ। তাদের উৎপাদিত কৃষিজাত পণ্য কাঁচামাল আনা নেওয়ার ভালো ব্যবস্থা না থাকায় তারা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

এমতবস্থায়, দু্ই গ্রামের মানুষের কথা বিবেচনা করে কংক্রিট ব্রিজ, কাঠের ব্রিজ বা অন্তত একটি ভাসমান ড্রামের ব্রিজ নির্মাণ করে হলেও দুই গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষগুলো যেনো দুঃখ-দুর্দশা থেকে রক্ষা পায় সে জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছেন।

আগস্ট ২১, ২০১৯ at ১৮:০০:২৯ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/এম/এমএ/আজা