রোপা আমন ধান চাষে ব্যস্ত কৃষক

নাটোরের লালপুরে রোপা আমন ধান চাষে ব্যাস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। শ্রাবণের শেষে বৃষ্টিতে জমি তৈরী, বীজতলা থেকে চারা সংগ্রহ ও জমিতে ধান রোপনে ব্যাস্ত এই উপজেলার কৃষকরা। প্রকৃতির উপর নির্ভর করে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানিতে এই অঞ্চলের কৃষকরা রোপা আমন ধান চাষ করে থাকেন ।

স্থানীয়সূত্রে জানাগেছে, আষাঢ়ের শেষে শ্রাবণের প্রথম থেকে রোপা আমন ধানের চাষ শুরু হলেও এ বছর মৌসুমের শুরু দিকে কাঙ্খিত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ধান চাষের পূর্বপস্তুতি হিসেবে বীজতলা তৈরী করতে পরেনি কৃষকরা। ফলে এবছর রোপা আমন চাষে অনেকটা বিলম্ব হয়েছে বলে জানিয়েছেন লালপুর উপজেলার কৃষকরা।

আরও পড়ুন :
ছেলেধরা গুজবে মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে গণপিটুনি
আন্তর্জাতিক চিত্রকলা উৎসবে বিপাশা হায়াত

লালপুর উপজেলার ধান চাষী মজনু আলী বলছেন, মৌসুম শুরুর দিকে ধান চাষ নিয়ে হতাশায় থাকলেও শেষ সময়ে একটু বৃষ্টিপাত হওয়ায় এখন অনেকটাই স্বস্তি তবে অন্যান্য বছরের চেয়ে এবছর ধান চাষে খরচে বেশি হওয়ায় অনেক কৃষকই তাদের লক্ষমাত্রা অনুযায়ী ধান চাষ করতে পারছেন না।

ওয়ালিয়া গ্রামের ধান চাষী হাসিবুল ইসলামসহ স্থানীয় কৃষকরা জানান, গত ৩ বছর যাবত আশানুরূপ বৃষ্টিপাত ও আবহাওয়া অনুকুলে না থাকায় এবং উৎপাদিত ধানের নায্য মূল্য না পাওয়ায় তারা বাধ্য হয়ে আখ ও ভুট্টাচাষ করেছেন।

চলতি মৌসুমে এই উপজেলার প্রায় কৃষকরাই দেশীয় জাতের পরিবর্তে (বিনা ধান-১৭, ৭, ২০, ব্রি-ধান ৪৯, ৬৬, ৭২, হাইব্রিড ধানী গোল্ড ও কেয়া) জাতের উচ্চ ফলনশীল ধানের চাষ করছেন।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবছর লালপুর উপজেলায় ৫ হাজার ৭শত হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে লালপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, ধান রোপনে দেরি হলেও আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবছর উপজেলায় ধান চাষের নির্ধারিত লক্ষমাত্রা অর্জিত হবে বলে মনে করছেন তারা।

আগস্ট ২১, ২০১৯ at ১১:১৬:২৯ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/এএল/এমএ/আজা