চাকুরী বাঁচাতে হাসপাতালেই ধর্ষিতাকে বিয়ে করলেন পুলিশ সদস্য

গাইবান্ধায় এক পুলিশ সদস্য মামলার ভয়ে ও চাকরি বাঁচাতে হাসপাতালেই ধর্ষিতাকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছেন। গেল রোববার গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে এই বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

পুলিশ কনস্টেবল আবু বক্কর সিদ্দিক গাইবান্ধা সদর উপজেলার বারবলদিয়া গ্রামের বেকাটারী গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে এবং রংপুরে পুলিশ সদস্য হিসেবে কর্মরত আছেন।

আরো পড়ুন:
কোটচাঁদপুর মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে ‘মাদার তেরেসা গুণীজন’ সম্মাননা পদকে মনোনিত
রোগীর পেটে ব্যান্ডেজ রেখেই সেলাই, ডাঃ বললেন ভুল হতেই পারে

রংপুর জেলায় কর্মরত আবু বক্কর সিদ্দিক নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে কলেজ ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ছাত্রী দারিয়াপুর হাজী ওসমান গণি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদি হয়ে পুলিশ সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক ও তাকে সহায়তাকারী আমিনুল ইসলামকে আসামী করে ১৪ আগষ্ট বুধবার গাইবান্ধা সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ১৫ আগষ্ট বৃহস্পতিবার অভিযোগটি থানায় এজাহার হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হয় এবং বিকেলে ধর্ষিতার ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।

আবু বক্কর সিদ্দিক গাইবান্ধা সদর উপজেলার মালিবাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম বারবলদিয়া বেকাটারী গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে এবং আমিনুল একই গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে।

ধর্ষিতার পরিবার ও পুলিশ জানায়, কনস্টেবল আবু বক্কর সিদ্দিক ধর্ষিতার প্রতিবেশী। আবু বক্কর সিদ্দিক ধর্ষিতার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়তে মোবাইল ফোনে কথাবার্তা বলতো। আবু বক্কর সিদ্দিক ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে গত ১১ আগষ্ট প্রতিবেশী কফিল উদ্দিনের ছেলে ফেরদৌস মিয়ার স্ত্রীর সহযোগিতায় তার বাড়ীতে নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।

আগস্ট ২০, ২০১৯ at ২১:৪১:২৯ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এসকেবি/তআ