রোগীর পেটে ব্যান্ডেজ রেখেই সেলাই, ডাঃ বললেন ভুল হতেই পারে

সিরাজগঞ্জ শহরের কমিউনিটি হাসপাতাল কমপ্লেক্সে অপারেশন (সিজার) করেন পেটের ভিতরে গজ ব্যান্ডেজ রেখেই সেলাই করার অভিযোগ উঠেছে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ কমল কান্তি দাসের বিরুদ্ধে।
অপারেশন করার পর মেয়ে সন্তান জন্ম হয় গৃহবধু মোছাঃ নুপুর খাতুনের। কিন্তু সিজার শেষে পেটের ভিতরে গজ ব্যান্ডেজ রেখেই সেলাই করে ঐ ডাক্তার। পেটের ভিতর গজ ব্যান্ডেজ নিয়ে নিদারুন যন্ত্রণায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লরছে গৃহবধু মোছাঃ নুপুর খাতুন। মোছাঃ নুপুর খাতুন রায়পুর মহল্লার নুরাল শেখের মেয়ে ও সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের চাঁদপাল গ্রামের শহীদুল ইসলামের স্ত্রী।
মঙ্গলবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ পৌরসভার রায়পুর পশ্চিমপাড়া গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়। এসময় গৃহবুধর পিতা নুরাল শেখ অভিযোগ করে বলেন, গত ৮ মে ২০১৯ইং তারিখে কমিউনিটি হাসপাতালে আমার মেয়ের সিজার করেন ডা. কমল কান্তি দাস। মেয়ের সিজারের বিল করেন ১৩ হাজার টাকা। আমি কর্তৃপক্ষের হাত-পা ধরে ৮হাজার টাকা পরিশোধ করি।
কিছুদিন পর আমার মেয়ে ব্যাথা সইতে না পেরে বিভিন্ন স্থানে ডাক্তারের সরনাপন্ন হয়। তারপরও রোগ নির্নয় হচ্ছে না। একাধিক বার পরিক্ষা নিরিক্ষা করার পর ধরা পড়ে পেটের ভিতর কিছু একটা আছে। পরে বেসরকারী আভিসিনা হাসপাতালে চলতি মাসে প্রথম দিকে আবারো অপারেশন করানো হয়। অপারেশন শেষে নুপুরের পেট থেকে গজ ব্যান্ডেস বের করা হয়। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বেসরকারী আভিসিনা হাসপাতালে ডা. আশরাফুল ইসলাম।
গৃহবধু নুপুর বলেন, আমার স্বাভাবিক জীবন ছিল, ওই কমিউনিটি হাসপাতালের চিকিৎসক আমার স্বাভাবিক জীবন নষ্ট করে দিয়েছে। আমি সুস্থ হতে চাই। শুধু তাই নয়। বর্তমানে বাবার বাড়ীতে বিনা চিকিৎসায় বিছানায় শুয়ে শুয়ে কাতরাচ্ছেন। সিজারিয়ানের মাধ্যমে এক কন্যা সন্তানের জম্ম দেন নুপুর। নাম তার নাদিয়া। সন্তান সুস্থ থাকলেও মায়ের অবস্থ খুব খারাপ।
এ বিষয়ে ডাঃ কোমল কান্তি দাস সকল অভিযোগ স্বীকার করে জানান, কাজ করতে গেলে একটু ভুল হতেই পারে। তবে এ ঘটনা নিয়ে শহরের বড় বড় প্রভাবশালী লোক সমাধানের চেষ্টা করছে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ সিভিন সার্জন ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, এধরণের অভিযোগ এখনো আমার কাছে আসেনি অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, যেহেতু রোহীর অবস্থা ভাল না। তারা তাড়ি রোগীকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো পরামর্শ দেন।
আগস্ট ২১, ২০১৯ at ১২:৪০:২৯ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/এএল/আজা