ডেঙ্গু দমনে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট

ডেঙ্গু দমনে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, ডেঙ্গু দমনে সময় মতো পদক্ষেপ নিলে এমন পরিস্থিতি হতো না। ডেঙ্গু নিধনে মানসিকতা ও দক্ষতার অভাব রয়েছে। কাগজে-কলমে সবকিছুই ঠিক আছে, আদতে ডেঙ্গু নিধনে কিছুই পুরোপুরি ঠিক নেই।

গত ২৫ জুলাই ডেঙ্গু পরীক্ষায় বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর অতিরিক্ত ফি আদায় বন্ধে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তা জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিষয়টি আদালতকে অবহিত করতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে নির্দেশ দেয়া হয়। সেই মোতাবেক স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

রোববার প্রতিবেদন তুলে ধরেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। তিনি বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে বর্তমান পরিস্থিতি ইতিপূর্বে আর হয়নি। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের চেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে। সারা দেশে সমস্ত ডাক্তারের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। তারা ঈদের মধ্যেও রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছেন। ৪০টি হাসপাতালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন :
ফসলী জমিতে সামাজিক বনানয়ন না করায় স্মারক লিপি প্রদান
বাল্যবিবাহের অভিযোগে বর-কনের কারাদন্ড

আদালত বলেন, ইতিমধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। শরিয়তপুর থেকে একজন ঢাকায় এসে মারা গেল। হাসপাতালে সাধারণ মানুষ সেবা পাচ্ছে না। আমাদের একজন স্টাফ চিকিৎসা না পেয়ে হাসপাতাল থেকে ফেরত এসেছে। ডেঙ্গু এখন মহামারী পর্যায়ে চলে এসেছে। বাজারের মশা মারার ওষুধেও কাজ করছে না।

এ সময় আদালত উপস্থিত মিডিয়াকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা রিপোর্ট লেখা বা পরিবেশনের ক্ষেত্রে আরও সতর্কতা অবলস্বন করবেন। কোনোভাবেই যেন বাইরে ভুলবার্তা না যায়। সেদিন আমরা বলেছি, ‌তারা পাবলিক সার্ভেন্ট অব কান্ট্রি’ আর কোনো কোনো মিডিয়ায় এসেছে এরা ভিআইপি নয় চাকর।

পরে ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার সাংবাদিকদের বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী যারা চিকিৎসাধীন আছেন তাদের চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক কী ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে- এর একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন আজ হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। আদালত সবকিছু বিবেচনা করেছেন। আদালত সারা দেশে ছড়িয়ে যাওয়া ডেঙ্গু জরুরি ব্যবস্থায় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলেছেন

ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার আরও বলেন, বিদেশ থেকে যে ওষুধ আমদানি করা হচ্ছে এর শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ সব ওষুধ দ্রুত হাসপাতালে সরবরাহ করা হচ্ছে। সরকারি হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

আগস্ট ১৮, ২০১৯ at ২১:৩২:২৯ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/কেএ/আজা