বেড়াতে গিয়ে কলকাতা থেকে ফেরা হলো না মইনুল ও তানিয়ার

গত ১৫ দিন আগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় বেড়াতে যান গ্রামীণ ফোন কর্মকর্তা মহম্মদ মইনুল আলম (৩৬) ও সিটি ব্যাংকের অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ফারহানা ইসলাম তানিয়া (৩০)।

এরই মধ্যে গত শুক্রবার (১৬ আগস্ট) দিবাগত মধ্যরাতে কলকাতার শেক্সপিয়র সরণি এবং লাউডন স্ট্রিটের সংযোগস্থলে দুর্ঘটনায় নিহত হয়।

নিহত মহম্মদ মইনুল আলম ঝিনাইদহের ভুটিয়ারগাতী গ্রামের কাজী খলিলুর রহমানের ছেলে এবং ফারহানা ইসলাম তানিয়া কুস্টিয়ার খোকসা থানার চন্দর গ্রামের আমিরুল ইসলামের মেয়ে। ময়নাতদন্তের পর বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে তাদের মরদেহ দেশে পাঠানো হয়েছে। দুই দেশের কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে রবিবার সকালে লাশ দুটি তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে প্রচণ্ড গতিতে ছুটে যাওয়া একটি জাগুয়ার গাড়ি একটি মার্সিডিজকে ধাক্কা দিলে জাগুয়ারটি রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দুই পথচারীকে চাপা দেয়।

আরো পড়ুন:
মেয়ে সেজে প্রেমের ফাঁদ : ছাত্রলীগ নেতাসহ আটক ২
তিন মাসেই ভেঙ্গে গেল ব্রিজ !
তরণীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ অভিযোগে যুবক গ্রেফতার

গুরুতর আহত ওই দুইজনকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন মার্সিডিজের চালক ও আরোহী। ঘটনার পরই গাড়ি ফেলে পালিয়ে যায় জাগুয়ারের চালক। জাগুয়ারটিকে আটক করেছে পুলিশ। তবে সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে জাগুয়ারের চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

একটি সূত্র জানিয়েছে, নিহত ওই দুই বাংলাদেশি চিকিৎসার জন্য ১৫ দিন আগে কলকাতায় যান। সূত্র জানায়, মইনুল চাকরি করতেন গ্রামীণ ফোনে আর তানিয়া ছিলেন বাংলাদেশে সিটি ব্যাংকের অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট । ময়নাতদন্তের পর বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে তাদের মরদেহ পাঠানো হয়।

আগস্ট ১৮, ২০১৯ at ১২:১৭:৩৪ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/তআ