চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সাপের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। আর মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে পড়েছে সাপে কাটা রুগের ভ্যাকসিন ‘অ্যান্টিভেনম’ না থাকায়। ফলে সাপে কাটা রোগী নিয়ে বিপাকে পড়েছে এলাকাবাসী । এরই মধ্যে গত ২ দিনে দুই জনকে সাপে কাটেছে। এর মধ্যে একজন রোগী মারা গেছে ।
জানা গেছে, ১৫ ই আগস্ট গভীর রাতে থানার পাশে গোপালনগর গ্রামের হাতেম আলীর মেয়ে আনিকা ( ১৭) কলেজ ছাত্রী ঘুমন্ত অবস্থায় সাপে কাটে। প্রথমে না বুঝলেও পরবরতিতে বুঝতে পেরে তাকে জীবন নগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
সাপে কাটা রোগীর কোন ভ্যাকসিন নেই এই অজুহাতে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়, সেখানে গেলে বলা হয় সাপে কাটা ভ্যাকসিন এখানে নাই আপনাদেরকে যশোর থেকে সংগ্রহ করতে হবে।
চিকিৎসকের অবহেলায় এক সময় সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এ বিষয়ে জীবননগর টি এইচ এ বলেন উপজেলা পর্যায়ে এর ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয় না হলে বাধ্য হয়ে আমরা চুয়াডাঙ্গা সদর এই পাঠায়।
খয়ের হুদা গ্রামের অসহায় হতদরিদ্র নাজমা খাতুন কে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা করে দিলেন জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সিরাজুল ইসলাম। গ্রাম বাঁশি জানান নিজের ঘরের মেঝের মাটি সরাতে গিয়ে সাপে দংশন করে।
জীবননগরে ওষুধ ব্যাবসাহি সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান ডাবলু বলেন দোকানগুলোতে এ ভ্যাকসিন রাখা হয় না। সাপে কাটা রোগীর সেনসিভিটি টেস্ট করতে হয়, যা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
ছাড়াও গ্রামের মানুষরা সাপে কাটা রোগীদের নিয়ে এখনো সচেতন না। যার কারণে তারা এখনও রোগীদের ওঝা বা কবিরাজ দিয়ে ঝাঁড়ফুক করে থাকে।
আগস্ট ১৬, ২০১৯ at ১৮:২৩:২৯ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/টিআর/তআ