স্বনির্ভর গ্রাম উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় আ: সোবহান সরকারকে ইন্টারন্যাশনাল ফার্ম ইউথ এক্সচেঞ্জ (আন্তর্জাতিক খামার যুব বিনিময়) বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত করে। পরে ১৯৪৮ সালে আমেরিকা সরকার তাকে ৬ মাসের বিশেষ প্রশিক্ষণের জন্য সে দেশে নিয়ে যান।
আব্দুর সোবহান সরকার ১৯৩১ সালের ২রা ফেরুয়ারি গাইবান্ধা সদর উপজেলার মালিবাড়ী ইউনিয়নের কিশামত মালিবাড়ী ধর্মপুর গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন । স্কুল জীবন থেকেই তিনি ছিলেন সৎ-সহসী, মেধাবী ও নিষ্ঠাবান। অন্যায়ের সাথে কখনোই তিনি আপোষ করেননি। এছাড়া গ্রামের উন্নয়নে সর্বদা কাজ করে গেছেন। স্কুল জীবনেই তিনি গ্রামে একটি পাঠাগার স্থাপন করেন। যাতে করে গ্রামের সকল মানুষ বই পড়ায় উৎসাহ পায়।
১৯৫০ সালে এসএসসি পাস ও ১৯৫৩ সালে এইচএসসি পাস করার পর দারিয়াপুর আমান উল্যাহ উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর ১৯৫৯ সালে ভিলেজ এইড নামে একটি সংস্থায় চাকুরীতে যোগদান করেন। সেখানে ৩ বছর চাকুরী করার পর ১৯৬৩ সালে ইউনিয়ন কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে আরেকটি চাকুরীতে পদার্পণ করেন। চাকুরী জীবনে তিনি সততার জন্য অসংখ্য পুরস্কার ও প্রশংসা কুড়িয়েছেন। শুধু তাই নয় তার জীবনের সব থেকে বড় সংগ্রহ শালা হচ্ছে শুরু থেকে আজ ববধি যত প্রকার গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র রয়েছে তা তিনি এখনো যত্রসহকারে রেখে দিয়েছেন।
বর্তমানে তার বয়স ৮৮ বছর হলে এখনো তিনি চশমা ছাড়াই বই, পেপার পড়তে পারেন। সংসার জীবনে এক স্ত্রী, ৪ ছেলে ও ৩ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রয়েছে তার।
এছাড়া, তিনি সামাজিক কুসংস্কার, অনাচারসহ বিভিন্ন বিষয়ের বিরুদ্ধে জনসচেতনা সৃষ্টি, বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, যৌতুক, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। এছাড়া তিনি কুসংস্কারচ্ছন্ন সমাজ ব্যবস্থা ভাঙতে মেয়েদের নিয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তৈরি করেন।
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বর্তমান জেলা কৃষকলীগের সভাপতি হাসান মাহমুদ সিদ্দিক বলেন, সে সময় স্বর্নিভর করায় তিনি গ্রামে আলোচিত ছিলেন। এ ছাড়া আ: সোবহান সাহেব একজন ব্যক্তিত্ব সম্পূর্ন মানুষ। যার ফলে অনেক সরকারি অর্থ হাতের নাগালে পেয়েও তিনি দুর্নীতিগ্রস্থ হননি। ফলে এখনো তিনি জড়াজীর্ণ কুঠিরে বসবাস করছেন।
আগস্ট ১৬, ২০১৯ at ১৭:২১:২৯ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এসবিকে/তআ