পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

রংপুর জেলায় কর্মরত আবু বক্কর সিদ্দিক নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে কলেজ ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ছাত্রী দারিয়াপুর হাজী ওসমান গণি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদি হয়ে পুলিশ সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক ও তাকে সহায়তাকারী আমিনুল ইসলামকে আসামী করে ১৪ আগষ্ট বুধবার গাইবান্ধা সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

১৫ আগষ্ট বৃহস্পতিবার অভিযোগটি থানায় এজাহার হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হয় এবং বিকেলে ধর্ষিতার ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
আবু বক্কর সিদ্দিক গাইবান্ধা সদর উপজেলার মালিবাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম বারবলদিয়া বেকাটারী গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে এবং আমিনুল একই গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে।
ধর্ষিতার পরিবার ও পুলিশ জানায়, কনস্টেবল আবু বক্কর সিদ্দিক ধর্ষিতার প্রতিবেশী। আবু বক্কর সিদ্দিক ধর্ষিতার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়তে মোবাইল ফোনে কথাবার্তা বলতো। আবু বক্কর সিদ্দিক ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে গত ১১ আগষ্ট প্রতিবেশী কফিল উদ্দিনের ছেলে ফেরদৌস মিয়ার স্ত্রীর সহযোগিতায় তার বাড়ীতে নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।
একইভাবে ১৩ আগষ্ট মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে কলেজ ছাত্রীকে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে বসতবাড়ীর সামনের দিকে থাকা ডিপমেশিন ঘরের দক্ষিন পাশে বাঁশঝাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করে আবু বক্কর সিদ্দিক।
উভয় ঘটনায় আমিনুল ইসলাম সহযোগিতা করে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ধর্ষিতা লোক লজ্জায় কীটনাশকপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। ওইদিন রাতে তাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ধর্ষিতার মা অভিযোগ করেন, আবু বক্কর সিদ্দিক পুলিশ সদস্য হওয়ায় সে ও তার লোকজন মামলা না করতে নানা রকমের হুমকি দিয়ে আসছিল। ১৪ আগষ্ট থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর বিষয়টি মিমাংসার কথা বলে ধর্ষক আবু বক্কর সিদ্দিকের পরিবারের পক্ষ থেকে থানা পুলিশ ও বিভিন্ন মহলে দেন দরবার করে মামলা রেকর্ডে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।

আরো পড়ুন >>> টানাপড়েন শেষে ২২ আগস্ট রোহিঙ্গা ফেরত প্রক্রিয়া শুরু

ধর্ষিতার মা বলেন, আমার মেয়েকে ধর্ষণের বিচার চাওয়ার ব্যাপারে আমি অটল থাকায় গাইবান্ধা সদর থানার ওসি শাহরিয়ার সকল বাধা উপেক্ষা করে ১৫ আগষ্ট অভিযোগটি এজাহার হিসেবে লিপিবদ্ধ করেন।
তিনি (ধর্ষিতার মা) আরও বলেন, মামলা হওয়ার পর পরেই আমাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষক পরিবার মিথ্যা মামলা দিয়ে সর্বশান্ত করবে বলে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোঃ শাহরিয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিক তদন্ত শেষে মামলা গ্রহন করা হয়েছে। ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিককে গ্রেপ্তারের জন্য বিভাগীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। অপর আসামী আমিনুলকেও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

আগস্ট ১৬, ২০১৯ at ১৫:১০:২৯ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এসকেবি/তআ